ডিআইএস-এর ৭ম বর্ষপূর্তি উদযাপন

সুন্দর ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে অর্ধযুগ পেরিয়ে সমৃদ্ধির ৭ম বছরে পা দিল ডোরস ফর ইনক্লুসিভ সোসাইটি (ডিআইএস)।

শনিবার (২০ মে) সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিকুঞ্জরে একটি হোটেলে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে উদ্বোধন ঘোষণা করেন ডিআইএস-এর সভাপতি শাহ মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার বিভাগের প্রফেসর গোলাম রাব্বানী। উপস্থিত ছিলেন ডিআইএস-এর সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সিমা ইকবাল।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি রাহিম উর রহমান, রবি আজিয়াটা লিমিটেড এর চিফ করপোরেট ও রেগুলেটারি অফিসার শাহেদ আলম।

আরও উপস্থিত ছিলেন ওমর ফারুক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অফ জ্ঞাকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। প্যাকম্যান বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রেহান জাফরসহ আরও অনেকেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ডিআইএস কর্তৃক পরিচালিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন এমন নয়জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্পিউটার বিতরণ, ব্রেল পদ্ধতিতে কুরআন তেলওয়াত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অর্থপুরষ্কার প্রদান, বিগত ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করার জন্য অর্থপুরষ্কার প্রদান, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্মার্টফোন বিতরণ, প্রতিবন্ধী ও সমাজে পিছিয়ে পড়া দুঃস্থ মানুষের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ, প্রতিবন্ধী মা ও শিশুদের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিতে খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদান প্রভৃতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। এ ছাড়াও শারীরিকভাবে অসুস্থ প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ ও নগদ অর্থ প্রদান করেন সংগঠনের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে জ্ঞাকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওমর ফারুককে প্রতিবন্ধী ও সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ব্যক্তিদের সহযোগিতায় অসামান্য অবদানের জন্য ডিআইএস এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ শিক্ষার্থী ডিআইএস-এর সভাপতি শাহ মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সিমা ইকবালকে ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে সম্মান প্রদর্শন করেন এবং পরিশেষে ডিআইএস এর সহসভাপতি রাহিম উর রহমানের সমাপনী বক্তব্যের দ্বারা অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে।

সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা দরিদ্র ও অসহায় নারী এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের আরও কার্যকর ও কর্মমূখী প্রশিক্ষণ প্রদান করার জন্য এবং তাদের স্বাস্থ্যসম্মত ও নির্ভরযোগ্য আবাসন প্রদানের লক্ষ্যে সংগঠনটি একটি নিজস্ব কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে।

সকলের জন্য সমতা: এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটি সুন্দর আগামী উপহার দেয়া সংগঠনটির মিশন ও ভিশন।

এমএ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top